Saturday, October 31, 2020

Reason behind the differences in costume of different places

      People living in different places wear different clothes are called costumes.

     The reason behind the differences in costume of people living in different places are  as follows :----

1. Differences in climate of different places that is climate of one place is cold whereas another place is hot.

2.  Availablity of resources for the making of costume is also a reason for the particular costume of particular area.

3. Respect towards culture and traditions of particular society is also influenced in difference in costume of different places.

 4. Differences in choices of people living in different places create different costume.

5. Differences in social life of people of different places are also responsible for differences in costume.

6. Availablity of that kind of clothes in particular area is also shown differences in costume.

7. Availablity of raw materials for making of dresses of particular area is also bring differences in costume.

8. Lack of availability of other options also a reason for the particular costume of particular area.

9. Differences in believe of different religions among people is also responsible for the differences in costume.

10. Differences in speaking language is also bring differences in costume. 

                     

                    Written by Maskura Begom.

                     Guwahati. Assam.

                     31/10/2020

Wednesday, October 7, 2020

ছোটগল্প # হায়রে এন আর সি

 ছোটগল্প  

      
 হায়রে এন. আর. সি.
                                    
                                    
- মা মা মা, বলে বাড়িতে ঢুকছে মুন্না।
- আস্তে আস্তে মা বোধহয় ঘুমাচ্ছেন।
    ঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে এসে জবাব দে রহিমা। এক মাস হয়েছে মুন্নার সাথে বিয়ে হয়েছে রহিমার। শান্ত, সুশ্রী মেয়ে। মুন্নার মা-ই পছন্দ করে মেয়ে এনেছেন। তিনি ওকে বউ ভাবতেই পারেন না। নিজের তিন ছেলে। মেয়ে একটা ছিল। পাঁচ বছর বয়সে চলে গেছে বেহেশতে। 
  - মা তো দিনের বেলা ঘুমান না, কোনো দিন। শরীর খারাপ নাকি। মুন্না বললো।
    - মা না খুব আনমনা হয়ে কি যেন ভাবছেন, কি যেন কষ্ট পাচ্ছেন । আমি পাশে গিয়ে বসে জিজ্ঞেস করলাম, 'আম্মা আপনার কি শরীর খারাপ?' কিছু বলছেন না। যখন আমি বেশি জোর করলাম শুধু 'হায় যে এন আর সি' বলে কান্নায় ভেংগে পড়লেন। আমার আর কিছু জিজ্ঞেস করার সাহস হয়নি। মা কেন এমন করলেন? কি কষ্ট মায়ের মনে?

    মুন্না তখন বলতে শুরু করল। ওর মা বেগমকে স্বামী, শশুর-শাশুড়ী, ননদ সবাই স্নেহ করতেন। তিনি নিজের গুনে সবাইকে খুব আপন করে নিয়েছিলেন। ওর দাদার অনেক কৃষি কর্মের জমি। তাই বাবা আলীকে কৃষি কর্মই করতে হয়েছে। কিন্তু এই কৃষক বাবা আলী কিন্তু খুব জ্ঞানী ছিলেন। গ্রামের মানুষ খুব শ্রদ্ধা করত। যখন কোনো বিষয়ে বক্তৃতা আরম্ভ করতেন, অনেক শিক্ষিত লোকই লজ্জায় মুখ লুকাতো। গ্রামের মানুষ জোর করে সভাপতি আসনে বসাতো উনাকে। বেগম ও আগলে রেখেছিলেন পরিবার, সম্পত্তি সব কিছুই। আলী ও বেগমের সুখী সংসার। 
 
     ২০১৫ ইংরাজীতে শুরু হলো এন. আর. সি. প্রক্রিয়া। দৌড় শুরু হলো নথিপত্র যোগাড়ের । বেগম যখন নবম শ্রেণীতে পড়তেন তখন  বিয়ে হয়ে যায়। স্কুল সার্টিফিকেট ও বের করা হয়নি। বার্থ সার্টিফিকেটটা আজকের মতো তো সঙ্গে সঙ্গে রেজিস্ট্রি হয়নি। স্কুল থেকে সার্টিফিকেট আনলেন তো নামটা ভোটার আইডি কার্ডের সাথে মিলে না। এক জায়গায় করিমা বেগম তো অন্য জায়গায় কারিমা বেগম।বাপ-দাদার লিগ্যাসি, তাও আছে। তারপর বিবাহিত মহিলার নাকি আবার নিজ বাবার গ্রামের পঞ্চায়েত সার্টিফিকেট ও আনতে হবে। তাই আনলেন। ২০১৮ ইংরাজীতে ভেরিফিকেশন ও হয় গোয়ালপাড়ায়। ২০১৯ আবার ভেরিফিকেশনর ডাক আসে উনারা ভাই-বোনদের সবার করিমগঞ্জ থেকে। যেখানে উনাদের চৌদ্দ গুষ্টির ও কেউ নেই । তারপর ও যেতে হবে সরকারি নির্দেশ। আবার না দেশ ছাড়া হতে হয়। রমজান মাসের দিন, কাঠফাটা রোদ। রোজা রেখে রোওয়ানা দিলেন কামরূপের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে। এক কিলোমিটার ই-রিকসা, তিন কিলোমিটার টেম্পু তারপর বাসে শরাইগাট  হয়ে ব্রহ্মপুত্র পার হয়ে গুয়াহাটি । এখানে উঠলেন নিজ ভাইয়ের ভাড়াঘরে। তিন বোন, দুই ভাই এক সাথে জড়ো হলেন ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে । ভোরের ট্রেনে গুয়াহাটি পল্টনবাজার রেলস্টেশন থেকে রোওয়ানা দিলেন করিমগঞ্জের বদরপুর অভিমূখে।গুয়াহাটি - বদরপুর পাহাড়ীয়া রাস্তার সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করলেন কিন্তু ভালো খাবারের ব্যবস্থা হলো না বাচ্চাদের জন্য। জীবনে প্রথম বার এতো দীর্ঘ যাত্রা। বিকেলে বদরপুর পৌঁছে একটি হোটেলে উঠলেন। সবাই ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে একটু রেস্ট করতে লাগলেন। ছোট ভাইটা বেরিয়ে পড়লো ভেরিফিকেশন সেন্টারের খোঁজে। ও পেশায় উকিল। গুয়াহাটি হাইকোর্টে কাজ করে।খোঁজ পেলো সেন্টারটা শহর থেকে ভিতরের দিকে গ্রামে। ফিরে এসে হোটেলে বিশ্রাম নিলো। পরেরদিন ভেরিফিকেশন।  এখানে  খাবার-দাবার মুটামুটি ভালোই । হোটেল থেকে রাত্রে খাবার নিয়ে রেখে দিলেন সেহরী খাবার জন্য। সেহরী সেরে, ফজরের নামাজ পড়ার পর আর কারো চোখে ঘুম আসলো না। ভোরের আলো দেখা দিলে বেরিয়ে পড়লেন অচেনা গ্রামের উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে যে সেন্টারে উপস্থিত হলেন ওরা বললো এই সেন্টার না। গ্রামের অপর প্রান্তে আর একটা সেন্টার আছে সেখানে যেতে হবে। তড়িঘড়ি রোওয়ানা দিয়ে পৌঁছলেন সেখানে। দুপুর অবধি অপেক্ষা করার পর ডাক আসলো। তারপর কাজ শেষ করে হোটেলে পৌঁছলেন।ব্যাগ-ট্যাগ গোছালেন । রাত্রে গুয়াহাটি অভিমূখী ট্রেনে করে যাত্রা শুরু করলেন। সারা রাত দুচোখে একটুও ঘুম আসলো না বেগমের। রাত একটা বা দুটোর মধ্যে ছোট ভাইটার ফোনটার রিং বেজে উঠলো। কেন যেন ফোনটা রিসিভ করে হুড়মুড় করে ট্রেনের বার্থ থেকে নেমে গেল। প্রায় পনেরো বা বিশ মিনিট পর চলে এলো। জিজ্ঞেস করলেন, - কি হয়েছে?
- কিছু না, তুমি একটু ঘুমাও বু।
- ঘুম আসছে না, মনটা ভালো লাগছে না ।
 কিছু না বলে চুপচাপ শুয়ে পড়লো ভাইটা। বড় ভাই ঘুমাচ্ছিলেন। একবার উঠলেন ওয়াশরুমের দিকে গেলেন। পিছনে ছুটে গেল ছোট ভাইটা। তারপর এসে চুপচাপ শুয়ে পড়লো ওরা। কোনো কথা বলছে না। বেগম ও কিছু বলতে পারছেন না। নিস্তব্ধ ট্রেন ছুটে চলছে। সকালে গুয়াহাটি পৌঁছলে ওরা একটা ভেনগাড়ী নিয়ে এসে বললো যে এখনি ফোন এসেছে বেগমের স্বামীর একটু শরীরটা খারাপ লাগছে তাই সবাই মিলে সোজা সেখানে গিয়ে উনাকে দেখে আসবেন। বেগম বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন। ওরা সান্ত্বনা দিলো - কিছু হয় নি। 
গাড়ি ছুটে চলছে। সবাই চুপচাপ বসে আছে। গাড়ি গিয়ে পৌঁছলো বাড়ীর পাশে। বেগম গাড়ি থেকে হুড়মুড়য়ে নেমে যান বাড়ীর সদর দরজায়। উঠোন ভর্তি মানুষ। থমথমে পরিবেশ। পাগলের মত দৌড়ে গিয়ে দেখেন খাটের উপর শুয়ে আছে কেউ যেন,  সাদা কাপড়ের নিচে। আর একটু এগিয়ে গিয়ে মুখটা দেখে মাটিতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। 
ছেলেরা মাকে দেখে কান্নায় লুটিয়ে পড়ে। আলীর মৃতদেহ পড়ে আছে খাটে। ঐ রাতে ভাত খাবার পর আলীর কি রকম যেন অসস্তি অনুভব হয়, বমি হয়। আলীর মা বুঝতে পেরে নাতিদের ডাকেন। রাত বারোটায় হাসপাতালে নিয়ে যায়। ডাক্তার দেখে জানান যে সব শেষ, উনার স্ট্রোক হয়েছিল। কতই বা বয়স হয়েছিল আলীর। পঞ্চাশ হবে। পুত্র শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েন আলীর মা।তারপর কিছু দিন পর তিনি ও চলে যান পরলোকে। 
 - তখন থেকে মা দূর্বল হয়ে পড়েছেন, আব্বার চলে যাওয়ার মূহুর্তে পাশে থাকতে না পারায় কেমন যেন হয়ে গেছেন। চোখ মুছতে মুছতে মুন্না বললো।
 রহিমা সব জেনে শুধু চোখের জল মুছে আর ওর মূখ দিয়ে ও বেরিয়ে আসে 
- হায় রে এন. আর. সি.-র হিয়ারিং।

                                            মাসকুরা বেগম।
                                          গুয়াহাটি। আসাম।
                                           ৮/১০/২০২০

।। চাই না আমি ।।

    ।। মাসকুরা বেগম ।। চাই না আমি প্রযুক্তির এমন উন্নতি যে নির্ধারণ করে আমার লিঙ্গ  হত্যা করে আমাকে মাতৃগর্ভে  চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই নিকৃষ্ট ...